করোনার যাতাকলে বাসা পরিবর্তন থমকে গেছে
মাসের শেষের দিকে বেশীরভাগ মানুষেরই বাসা পরিবর্তন করার একটা প্রস্তুতি থাকে। অন্যান্য সময়ও কেউ কেউ বাসা বদল করে থাকেন। তবে সাধারনত মাসের পঁচিশ তারিখের শিফটিং এর দিনক্ষণ ঠিক করে রাখেন আগে থেকেই অনেকে। নতুন বাসা ভাড়া নেওয়ার সাথে সাথে শিফটিং এর তারিখও নির্ধারণ করে রাখা হয়। আমাদের মত শিফটিং কোম্পানী গুলোর ব্যস্ততাও এই সময়টাতে বেশী থাকে। যার যার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী কাজও বুকিং করে রাখা হয়। এবার অন্যান্য সবকিছুর মত বাসা বদলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেছে। করোনার কারনে বাসা বদলের প্রোগ্রামগুলি তছনছ হয়ে গেছে।
করোনার কারনে বাসা পরিবর্তন করতে পারেনি বেশীরভাগ মানুষ
যেসব মানুষ আগে থেকেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে আবার বর্তমান বাসাতেও নতুন ভাড়াটিয়াও উঠবে এমতাবস্থায় অনিচ্ছা সত্বেও ঝুকি নিয়ে বাসা ছাড়তে হয়েছে। অন্যদিকে শিফটিং কোম্পানী গুলো বন্ধ হয়ে গেছে ২৫ তারিখ রাতের মধ্যেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পঁচিশ তারিখের মধ্যেই সমস্ত লেবার ড্রাইভার সহ এই খাতে জড়িত কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই ঢাকা ছেড়েছে। আবার যারা ঢাকায় ছিলেন তারাও কাজ করতে অপারগ। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের হটলাইনগুলোতে প্রচুর ফোন আসতে থাকে বাসা বদল করার। আমরা জবাবে বলে দিয়েছি যে, আমাদের অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কাজ করা সম্ভব নয়।
বাসা বদল সার্ভিস প্রদান করার জন্য যেমন লোকবল ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন পরে । আমরা উক্ত সময়ে যথাযথ কর্মী ও লোকবল প্রদান করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই বলতে হয়েছিলো আমরা আমাদের সার্ভিস স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রেখেছি।