বাসা বদল সার্ভিস । টিপ্স এন্ড ট্রিক্স ২০২৩

Home/বাসা বদল ব্লগ/বাসা বদল সার্ভিস । টিপ্স এন্ড ট্রিক্স ২০২৩
Spread the love

ঝামেলাহীন বাসা বদল ‍সার্ভিস, ঢাকা।

বর্তমানে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের ফলে তারা খুভ সহজে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বাসা বদল করে থাকে। তারা বিলাশ বহুল জীবন যাপন করার লক্ষে নানা রকম মালামাল ও আসবাবপত্র ক্রয় করে থাকে। স্থান পরিবর্তন করার সাথে সাথে তাদের মালামাল ও স্থানান্তর করার প্রয়োজন পরে। এ ক্ষেত্রে ভারি মালামাল পরিবর্তনের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ মুভিং কোম্পানীর প্রয়োজন পরে।

বাসা বদল সার্ভিস গ্রহনের পূর্বে আমাদের যে সকল বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে ও বাসা পরিবর্তনের সময় যে সকল সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে অনেকগুলো কারনে মানুষ বাসা পরিবর্তন করে থাকে। নিজস্ব কেনা বাসায় ‍স্খানান্তরিত হওয়ার জন্য, কিংবা বর্তমান বাসায় কনো সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারনে বাসা পরিবর্তন করে থাকে। যে কনো নতুন বাসা, নতুন কনো অভিজ্ঞতা ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসে।

বাসা বদল বর্তমানে খুভই ঝামেলাকর কাজগুলোর মধ্যে একটি কাজ। বাসা বদলের ভয়ে অনেকেই নিজেদের বাসাই পরিবর্তন করতে চায় না। কেউ বা আবার তাদের বাসার মালামাল টানা হেচড়া করার ভয়ে তা বিক্রি করে দেয় এবং পরিবর্তীতে নতুন বাসায় উঠার পর নতুন করে মালামাল ক্রয় করে থাকে। যা খুভই ব্যায়বহুল ও বিরক্তিকর। এ কাজে অনেকে খুভই ‍আহত হতে দেখা যায়। কেউবা আবার বড ধরনের আঘাত প্রাপ্ত না হলেও হাতের আনাচে কানাচে অনেক কাটা ছেডার দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এর মূল কারন অসতর্ক ও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাডা এ সকল কাজে নামা।

এই সমস্যা গুলো দেখা যায় যখন কেউ এ সকল কাজ গুলো কনো বিশ্বস্থ কোম্পানীকে দিয়ে না করিয়ে নিজে নিজে করতে যায়। তখন ই ঘটে যত বিপত্বি। কেউ প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়, কেউবা আবার কোমর ব্যাথা, হাত ব্যাথা বা বিভিন্ন শারিরিক ব্যাথায় জ্বর্জরিত হয়। কারন দক্ষ ও পরিপক্ষ হাত ছাড়া কেউ এ সকল কাজ করতে গেলে, এক তো তারা সুন্দর ও সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, মালামাল এর ক্ষয় ক্ষতি ও নিজে আহত হোওয়ার আশংকা থেকে যায়।

অথচ এই কাজ গুলো যদি নিজে না করে কোনো বিশ্বস্থ কোম্পানীকে দিয়ে করানো হয়। তখন এই সকল কাজ তারাই তাদের দক্ষ হাত দ্বারা সম্পন্ন করতে পারে। কোনো প্রকার ক্ষয় ক্ষতি ও আঘাত প্রাপ্ত হওয়া ছাড়াই। কারন মূভিং কোম্পানীগুলো খুভই দক্ষ ও পরিপক্ষ এবং তারা জানে কি করে এ সকল কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

বাসা বদলের ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে করনীয়

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এখন কোন ঝামেলা ছাড়াই বাসা বদল করতে পারবেন এমন একটা সময় ছিল ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া বাসা বদল করার কথা চিন্তাও করা যেত না। কাজটি যদিও ঝামেলার এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা, তবে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এই ঝামেলাপূর্ণ কাজটি খুব সহজে করা সম্ভব। অনেকেই কম খরচে বাসা বদল করতে গিয়ে লাখ টাকার আসবাপত্র নষ্ট করে মাথায় হাত পরার মত অবস্থা হয়। যেমন নাকি বিড়ালের জন্য হাতি গচ্চা দেওয়া। এজন্য বাসা বদল কোম্পানী নির্বাচন করার পূর্বে খরচের চেয়ে গুনগত মান বিবেচনা করে শিফটিং এজেন্সী নির্বাচন করা উচিত। প্রযুক্তির এই যুগে যখন সবকিছু হাতের মুঠোয় তবে কেন নিজে নিজে বাসা বদল করতে গিয়ে অযথা অর্থ ও সময় অপচয় করবেন।

কিছু নিয়ম নীতি মেনে ও পূর্ব পরিকল্পনা মেনে চললে সকল ঝামেলা এড়িয়ে স্বচ্ছন্দে বাসা পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে করে আপনার টাকাও কম খরচ হবে ও আসবাবপত্র ক্ষয়-ক্ষতি হইতে হেফাজতে থাকবে।  পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতন থাকা ব্যস! এই কয়টি বিষয় মাথায় রাখলে বাসা পরিবর্তনের সময় নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।সর্ব প্রথমে কোন্ এলাকায় বাসা নিবেন ইহা ঠিক করুন। কোন এলাকায় বাসা ভাড়া নিলে আপনার অফিস, বাচ্চাদের স্কুল ইতাদিতে আসা যাওয়ার সুবিধা হবে এটা মাথায় রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার নিজের চেয়ে সন্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি নিজে দূর থেকে গিয়ে অফিস করতে পারবেন। কিন্ত ছেলে-মেয়েদের যদি আসা যাওয়া দূর হয় তবে কাছাকাছি বাসা ঠিক করাই ভাল। আপনি যেখানে বাসা ভাড়া নিচ্ছেন এর আশেপাশে বাজার, মসজিদ, হাটাহাটি করার জায়গা আছে কিনা এটিও মাথায় রাখতে হবে।

যাই হোক মোট কথা বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে চিন্তাভাবনা করে ভাড়া নিতে হবে। এমন যেন না হয় একটি বাসা ভাড়া নিলেন কিন্তু উঠে দেখলেন এই সমস্যা ওই সমস্যা। তাই ভাড়া নেওয়ার আগে খোঁজ খবর নিতে হবে। কোন সমস্যা আছে কিনা। কারন বাসা একবার ভাড়া নিয়ে সেই বাসায় উঠে আবার কিছুদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া খুবই বিরম্বনার একটি কাজ।

এতে করে অর্থের অপচয়, ফার্ণিচার ডেমেজ হওয়া, সময় নষ্ট হওয়া ইত্যাদি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কষ্টতো হবেই। আরো নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। এজন্য একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বাসা ভাড়া চুড়ান্ত করার আগে অবশ্যই পরিবারের সকল সদস্যদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে বাসা ঠিক করবেন। ইহা অবশ্যই মনে রাখবেন। যদি নতুন বাসায় উঠে কোন রকমের সমস্যা হয় তবে সকলেই আপনাকে দোষারোপ করবে।

বাসা বদল

বাসা বাদল | বাসা পরিবর্তন

এ সকল সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে কিভাবে বাসা বদল করা যায় আমরা আজ সেই সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করবঃ-

বাসা বদল অনেকগুলো কাজের সমন্বয়ে করতে হয়। যেমন বাসার বড় ও ছোট কাজগুলোকে আলাদা আলাদা করে ভাগ করে প্যাকিং করতে হয়। বড় কাজগুলোর মধ্যে, আলমারি, এসি, ফ্রিজ, সোফা, খাট, ডাইনিং টেবিল ইত্যাদি।

আবার ছোট কাজগুলোর মধ্যে পড়ার টেবিল, কুকারিস মালামাল, সোফা, হাড়ি-পাতিল, মুল্যবান দ্রব্যাদি, সোনা-গহনা, ইত্যাদি। বড় কাজগুলো তুলনা মুলক অনেক দামি ও ভাড়ি হয়ে থাকে যার ফলে বাসা শিফট করার সময় এ সকল মালামাল নোষ্ট ও ভেংগে যাওয়ার ভয় থাকে।

অনভিজ্ঞ কেউ এ সকল কাজে আসলে মালামাল ও ব্যাক্তি উভই ক্ষতিগ্রস্থ হওবার সম্ভাবনা থাকে।

বাসা বদল এর পুর্বে যেসকল টিপস ও ট্রিক্স গুলো মাথায় রাখতে হবেঃ-

  1. প্যাকিং করাঃ আসবাবপত্র ও গুরুত্ব পুর্ন মালামাল পুর্বে থেকে ই প্যাকিং করে রাখা ও যে সকল আসবাবপত্র দামী ও মুল্যবান সেগুলো প্যাকিং করার ক্ষেত্রে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। মুভার্স ও প্যাকার্সরা যদি প্যাকিং সুবিধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের কাছ থেকে কিভাবে ও কখন , কোন কোন আসবাবপত্র ও মালামাল এর প্যাকিং করবে ও তার খরচ কেমন পরবে তা আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।
  2. মার্ক করে রাখাঃ কোন কোন মালামাল গুলো গাড়িতে উঠানো হয়েছে ও কোন কোন মালামাল গুলো প্যাক করা হয়েছে তার নির্দিষ্ট কালারের মার্ক পেন দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা উচিত। ফলে যখন মালামাল গন্তব্য স্থানে পৌছানো হবে তখন যেনো সেই টিকমার্ক অনুযায়ী মালামাল নামানো যায় ও সব মালামাল পাওয়া যায়।এতে করে মালামাল হারানোর ভয় থাকে না ও চুরি ও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে আসে ও খরচ ও কমে আসে।
  3. মালামাল এর প্রকারভেদে আলাদা করে রাখাঃ মালামাল তার নির্দিষ্ট প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করে আলাদা আলাদা করে রাখা। এতে করে আসবাবপত্র কোথায় কিভাবে আছে তা সহজে জানা যায় ও বড় মালামাল গুলো ও ছোট ছোট মালামাল গুলো খুজে পেতে দেরি হয় না। ফলে সময় লাঘব কম হয়। পাশাপাশি মালামাল চুরি ও হারানোর ভয় থাকে না।
  4. দক্ষ ও অভিজ্ঞ মুভার্সদের নিযুক্ত করাঃ বাসা পরিবর্তন নিজে নিজে একাই সকল কাজ করতে গেলে অনেক মাল নষট ও ক্ষতি হওয়ার সম্পভাবনা থাকে ও নিজেই আহত হও)ইয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এ সকল কাজ দক্ষ মুভার্সদের দিয়ে করালে এ সকল ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার যায় । ও সময় লাঘব হয়, পাশাপাশি খরচ ও কমে আসে। দক্ষ মুভার্সরা এ কাজে দক্ষ হওয়ার কারনে তারা জানে কিভাবে কোন উপায়ে কাজ করলে কাজ টি সফল ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। তাই নিজে কাজ না করে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কনো মুভার্স দের দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে অনেক ভালো হবে।
  5. মুভার্সদের সাথে কন্টাক্ট রাখাঃ মুভার্সরা কখন,কোথায় আসবে ও কি কি কাজ করবে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে তাদের অবগত করতে হবে। এবং তারা যথাসময়ে কাজে আসছে কিনা বা তারা কোথায় কিভাবে আছে সেই সকল বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে। যাতে করে তারা যেনো কাজে বিলম্ব না করে ও কাজে অলসতা না করে সেই সকল বিষয়ে খোজ খবর রাখতে হবে।
  6. বাসা বদলের সঠিক সময় সবাইকে অবগত করাঃ বাসা বদল অনেক গুলো কাজের সমন্বয়ে ঘটে থাকে। এ কাজে গরিমিসি কিংবা অবহেলা করলে কাজের উপকার এর তুলনায় অপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ কাজের সময় ও ব্যাপ্তি সম্পর্কে উভয় পক্ষ আলোচনার সাথে মিটিয়ে নিতে হবে। নয়ত যতাযথ তারিখ অনুযায়ী বাসা পরিবর্তন সম্ভব হয়ে থাকে না। অথবা সময় নিয়ে কনো সংকোচ থেকে থাকলে উভয় পক্ষই অবহেলা করে থাকে। তাই বাসা পরিবর্তন এর পুর্বে সবাইকে অর্থাৎ উভয় পক্ষকে বাসা পরিবর্তনের তারিখ ও সময় সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
  7. বাসা পরিবর্তনের জন্য মানুষিকভাবে প্রস্তুত থাকাঃ বাসা পরিবর্তনের জন্য মানুষিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। বাসা বদল অনেকগুলো কাজের সমন্বয়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। যার ফলে কেউ এ কাজে মানুষিকভাবে দুর্বল হয়ে যায় ও অনেক দায় ও ঝামেলা এড়ানোর জন্যু অনেক মালামাল নষ্ট করে ফেলে কিংবা বিক্রি করে দেয়। ও যথা সময়ে প্রস্তুত ও থাকে না। ফলে অলসতা, দুর্বলতা ও গিরিমিসি দেখা যায় কাজ কর্মে। তাই বাসা পরিবর্তনের পুর্বে মানুষিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
  8. ট্রাক বা ভ্যান ভাড়া করাঃ বাসবদলের পুর্বে, বাসা পরিবর্তনের জন্য মালামাল ও তার ধরন অনুযায়ী ট্রাক বা ভ্যান ভাড়া করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি মুভার্স কম্পানী ট্রাক বা ভ্যান এর সুবিধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের থেকে পুর্বে থেকে ই জেনে নিতে হবে উক্ত ট্রাক বা ভ্যান বাবদ খরচ কেমন হবে। অন্যথায় খরচের পরিমান বেড়ে যেতে পারে ও মুভার্স কোম্পানী গুলো তাদের ইচ্ছেমত ভাড়া দাড় করিয়ে নিতে পাড়ে।
  9. প্লান মত কাজ করাঃ মুভার্সরা কোথায় কিভাবে ও কখন কোথায় মালামাল স্থানান্তর করবে তার সঠিক প্লান করে নিতে হবে। প্লান বা পুর্বপরিকল্পনা করা না থাকলে সকল কাজ এলো মেলো ভাবেই হবে। ফলে মুভার্সরা জানবে না তাদের গন্তব্য স্থান সম্পর্কে আর ভাড়াটিয়া জনবে না মুভার্সদের গতিবিধি চিহিত করতে। ফলে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থের সম্ভাবনায় পরে যেতে পাড়ে।
  10. গুরুত্ব পুর্ন মালামাল সম্পর্কে মুভার্সদের অবগত করাঃ যে সকল মালামাল মুল্যবান ও গুরুত্বপুর্ন সেই সকল মালামাল সম্পর্কে মুভার্সদের পুর্ব থেকেই অবগত করতে হবে। যাতে করে তাদের অবহেলা ও অসচেতনতার কারনে যেনো উক্ত মালামাল ক্ষতির সম্মুখিন না হয়ে থাকে।

বাসা বদল সার্ভিস

বাসা বদল ‍সার্ভিস কাদের থেকে নিবেন?

ঢাকার মধ্যে বাসা বদল সার্ভিস অনেক কোম্পানী দিয়ে থাকে। তাদের অনেকেই আছে দক্ষ ও আধা দক্ষ মুভিং কম্পানী। কেউ আছে স্বীক্রিতি প্রাপ্ত আবার কেউ আছে অনুমোদনহীন। সবাই দক্ষ সেবা প্রদান করে না।  তাহলে কাদের থেকে এই সেবা গ্রহন করব, এই চিন্তাই সবার মনে।

বাসা বদল সার্ভিস গ্রহনের জন্য অনেক কোম্পানী ই আছে যারা অনলাইনেই তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। আর এটাই একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে আমরা দক্ষ মুভার্স কোম্পানী খুজে পেতে পারি।

আমরা যদি গুগলে ”মুভিং কোম্পানী ঢাকা” লিখে সার্চ করি সেখানে গুগলর প্রথম পাতায় থাকা টপ সাইট গুলোই মুভিং কম্পানী খুজার ‍সর্বত্তম মাধ্যম। সার্চকৃত কোম্পানীর মধ্যে যে সকল কোম্পানীর গুগল রিভিউ, রেটিং ভালো তাদেরকেই আপনার বাসা পরিবর্তনের জন্য নিয়োগ দিতে পারেন। কারন গুগল তার এ্যালগরিদম এর মাধ্যমে সর্বোত্তম কম্পানীকেই গুগলের প্রথম দিকে রাখে। তাই এ ক্ষেত্রে গুগলকে বিশ্বাস করা যায়।

এখানে ঢাকার মধ্যে top 10 movers and packers দের তালিকা দেয়া রয়েছে। এক নজরে দেখে আসতে পারেন।

আর যদি শিফটিং কোম্পানী থেকে বাসা বদল সার্ভিস নিতে চান?

নিজেরা প্যাকিং করা আসলেই একটি ঝামেলার কাজ আর এত সময়ই পাবেন কোথায়। আর যদি এজমার রোগ থেকে থাকে তবে এ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। এর চেয়ে ভালে সকল দায়িত্ব শিফটিং কোম্পানীকে দিয়ে দিন তারাই সকল দায়িত্ব নিয়ে আপনার সকল জিনিসপত্র খুব সুন্দর করে প্যাকিং করে দিবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন। কিছু ব্যাক্তিগত ও মূল্যবান জিনিসপত্র অবশ্যই আপনার নিজেদের প্যাকিং করতে হবে। যেমন: কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এলইডি টিভি ইত্যাদি।

এ ছাড়াও মুল্যবান জিনিসপত্র যেমন সোনা, গহনা, ও মুল্যবান জিনিসপত্র নিজের হাতের নাগালেই রাখতে হবে। অন্যথায় সেই সকল মালামাল হারানো বা ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। এ সকল দায় ও ঝামেলা এড়ানোর জন্য উক্ত কাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে মনোযোগ ও সচেতন বাড়াতে হবে।
তাছাড়া কাজ সহজ ও সাবলীল করতে প্রতিটা কাজে পুর্ব পলিকল্পনা থাকতে হবে ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বাসা বদল এর প্যাকিং যদি নিজে করাতে চান?

বাসা ভাড়া নেওয়া হয়ে গেলে ঠিক করুন প্যাকিং কি আপনি নিজেরা করবেন নাকি শিফটিং কোম্পানী দিয়ে করাবেন। নিজেরা করলে এক রকম প্রস্তুতি আর কোম্পানীর লোক দিয়ে করালে এক রকম প্রস্তুতি। যদি নিজেরা করেন তবে প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন ইহা চিন্তা করতে হবে। তবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা হতে এসব সংগ্রহ করতে গেলে টাকা খরচ হবে বেশী।

তাছাড়া এগুলো সংগ্রহ করতে অনেক দূর দূরান্তে যেতে হবে। মোট কথা এগুলো আপনার দ্বারা সম্ভব হবেনা। তারচেয়ে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো মুভিং কোম্পানীকে বলবেন প্যাকিং আমরা নিজেরাই করবে আপনার প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস সরবরাহ করবেন। ব্যস! প্যাকিং করার চিন্তা দূর হয়ে গেল, সময় মত প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস পাঠিয়ে দিবে। এখন প্রশ্ন হলো আপনার কি কি লাগবে। আপনার বাসার মালামালের ধরন, গুনগত মান ও শিফটিং এর দূরত্ব অনুযায়ী প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস প্রয়োজন হয়। যেমন: কার্টুন বক্স, নিউজ পেপার, করিগেটেট রোল পেপার, টেপ, সুতলী, বাবল পেপার, ফোম পেপার ইত্যাদি। আপনি চাইলে এগুলো প্রতি পিস হিসেবেও নিতে পারেন।

উপোরক্ত আলোচনার মাধ্যমে বাসা বদল এর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে আশা করি।

01678200900